রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৫২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
আলজাজিরার প্রতিবেদন: ভারতীয় ভিসা নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে বাংলাদেশি রোগীরা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিজয় একাত্তর হল সভাপতি সজিব গ্রেফতার বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে অস্ত্র-বোমা উদ্ধার করল সেনাবাহিনী পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদন বন্ধে জোরদার হচ্ছে অভিযান আইসিউতে মুশফিক ফারহান সাবেক প্রতিমন্ত্রীর চাচাকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে পিটুনি ফ্যাসিবাদের ঘৃণাস্বরূপ বঙ্গবন্ধুর গ্রাফিতিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি তারেক রহমানের ৪ মামলা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল আগামী সোমবার লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া ১২০ দেশের সংবিধান পর্যালোচনা করে যেসব প্রস্তাবনা দিতে যাচ্ছে কমিশন
আমেরিকানদের জরিপও আওয়ামী লীগের পক্ষে: আরাফাত

আমেরিকানদের জরিপও আওয়ামী লীগের পক্ষে: আরাফাত

স্বদেশ ডেস্ক:

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জিতবে, একাধিক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে দাবি করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি বলেন, শুধু নিজেদের জরিপ নয়, আমেরিকানদের জরিপের ফলও আওয়ামী লীগের পক্ষে আছে।

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে গতকাল শুক্রবার মনোনয়ন পাওয়ার পর গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটা দাবি করেন আরাফাত।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কমিটমেন্ট, আমরা ৯৯ শতাংশ ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার, প্রপার একটি ইলেকশন করব। কাউকে এটা আটকাতে দেব না। দলের ভেতরে এবং দলের বাইরে, এটা হচ্ছে আমার কমিটমেন্ট। আমরা অনেক সার্ভে করেছি, ইনশাআল্লাহ আমাদের পক্ষে আছে রেজাল্ট। আমরা না, আমেরিকানরাও করেছে সেটাও আমাদের পক্ষে আছে। পক্ষে না থাকলেও আমরা ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন করব। এটা শেখ হাসিনার কমিটমেন্ট। কারণ এই ভোট আর ভাতের লড়াই সারা জীবন করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। বাংলাদেশে কেউ যদি কোনো সংস্কার করে থাকে, নির্বাচনকেন্দ্রীক ওনার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেটা উনিই করেছেন। কাজেই এখান থেকে পিছু হটার কোনো সুযোগ নাই।’

সম্প্রতি ঘোষণা করা মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘ভিসা আমেরিকানরা কাকে দেবে, কাকে দেবে না—এটা তাদের এখতিয়ার। এটা নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। কিন্তু সেই বিষয়ে তারা যখন… করে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ একটা বিষয়ের সাথে, আমরা তখন ওয়েলকাম করতে পারি না। আবার আমরা এটাকে রিজেক্টও করছি না। তাদের এই বক্তব্যকে যদি দেখেন, তারা কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার যে কমিটমেন্ট, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়া ইলেকশন—এটা তারা মেনে নিয়েছে।’

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের চিঠির বিষয়ে আরাফাত বলেন, ‘ব্লিঙ্কেনের যে চিঠিটা আমাদের ফরেন মিনিস্টারকে দিয়েছে বা ওদের যে প্রতিনিধি আমাদের স্টেট ডিপার্টমেন্টে যে বক্তব্য দিয়েছে, সেখানে পরিষ্কারভাবে বলেছে, প্রধানমন্ত্রীর যে বক্তব্য সেটাকে সমর্থন করেই এটা দিয়েছে। আমাদের সাথে এখানে তাদের কোনো পার্থক্য নাই। আমরা একটা ফ্রি ফেয়ার নির্বাচন করতে চাই এবং ওই লক্ষ্যেই তারা এই জিনিসটা দিয়েছে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, এখন যারাই এটাকে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে, তারা বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিপদে পড়বে। তাদের যদি অনেক শখ বেশি থাকে আমেরিকাতে যাওয়ার, সেখানেও তারা একটি… পরবে, যদি আমেরিকানরা এটা প্রপারলি অ্যাপ্লাই করে। সেখানে আবার যদি বায়াসনেস থাকে, তাহলে মুশকিল।’

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বলেন, ‘আমাদের কমিটমেন্ট হচ্ছে হোল ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন। এটা করতে হবে আমাদের। এটা করার জন্য কিন্তু অনেকগুলো সংস্কার হয়েছে। সবকিছু শেখ হাসিনার দাবি ছিল অথবা তার হাত ধরে হয়েছে। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ছবিযুক্ত ভোটার লিস্ট, ইলেকশন কমিশন গঠন আইন, উনি এটা করলেন, রিসেন্টলি আমাদের ক্যাবিনেট সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী সভাপতিত্বে, নির্বাচনকালীন সময়ে পর্যবেক্ষকদের বা সাংবাদিকদের যারা বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করবে, তাদের ৭ বছরের পর্যন্ত সাজা হতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘এই যে সংস্কারগুলো প্রধানমন্ত্রী নিচ্ছেন, এর ফলে দীর্ঘ মেয়াদে একটা শক্তভিত্তির ওপর দাঁড়ানোর একটা প্রচেষ্টা আছে কিন্তু। উনি কিন্তু শুধু সামনের নির্বাচন দেখছেন না। ধরেন অতীতের দুটি নির্বাচন, অনেক কথাবার্তা বলে, এখানে বিএনপি ও অপিজশনের অনেক দায় আছে। ২০১৪ সালে তারা তো ইলেকশনেই আসে নাই। ইলেকশন প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে। আপনি বলেন তো ইউকেতে দুটা পার্টির একটা পার্টি যদি ইলেকশনে না এসে তারা যদি প্রতিহত করার চেষ্টা করে, ভালো ইলেকশন করতে পারবে, পারবে না। তা বাংলাদেশেও হয় নাই। দায় সরকারের কীভাবে।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘২০১৮ সালে একটু ট্রুাপে পড়ে গেছে আওয়ামী লীগ, তারা ভেবেছে বিএনপি সঠিক নিয়তেই নির্বাচনে আসছে, পূর্ণাঙ্গভাবে আসবে। তারা আসলেন না। তারা সেভাবে করে নাই। তারা ইলেকশনে আসবে বলে ২ ঘণ্টার মধ্যে চলে গেছে। কেউ পোস্টার ছাপায় নাই, কেউ পোস্টার ছাপালেও দেওয়ালে লাগায় নাই। পুলিং এজেন্ট দেয় নাই। মাঠটা খালি ছিল, মাঠ খালি থাকলে কী হয়, বাংলাদেশে তো নির্বাচনী কালচার পাশ্চাত্যের মতো তৈরি হয় নাই। তো এখানে সবাই একটু চেষ্টা করে কিছু না কিছু অতিরিক্ত করার। এখানে বিরোধীপক্ষ কিন্তু একটা ডেটা ডাইন হিসেবে কাজ করে। সেই ডেটা ডাইন যখন ছিল না। তখন আমাদের দলের ভেতরেই কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করেছে। এটা আমি অস্বীকার করছি না, কিন্তু সেটা না করলে আমাদের লাভ হতো। বিএনপি থাকলে লাভ হতো। কেন ২০১৮ ডিসেম্বরে ইলেকশনের আগে আপনার মনে আছে, ইকোনমি ইনটেলিজেন্স ইউনিয়নে, তারপরে ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিটিউট বা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল, সবার সার্ভেগুলো কী রেজাল্ট?’

আরাফাত বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তো এমনিই জিতত, তাহলে ইলেকশন বিতর্কিত হলে আওয়ামী লীগের কি লাভ হয়? আওয়ামী লীগের তো কোনো লাভ হয় না, লাভ তো হয়ছে বিএনপির আসলে। এই পাঁচ বছর ধরে বলতে পেরেছে তারা, ইলেকশন আসলে খারাপ ছিল।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877